৩ মার্চ ১৯৭১। আমাদের স্বাধীনতার পথে এক বিশাল মাইলফলক। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পল্টন ময়দানে জনসভা। আয়োজক ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ। সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। সভায় বঙ্গবন্ধু আসার কথা ছিল না। কিন্তু তিনি এসে হাজির হয়েছেন। স্বাধীনতার ইশতেহার নামে একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ ইশতেহারটি পাঠ করেছিলেন। ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা, আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতাংশকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২ মার্চ বটতলায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হাতে নেওয়া পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ইতিহাসের এই চিত্র আজ কারও বিবেচনায় আছে কি না জানি না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, কেউ কেউ এই দিনগুলিকে ব্যক্তিকরণ করে রাজনীতির মাঠে মাহাত্ম্য তৈরি করার প্রয়াস নিয়েছেন। আমাদের কথা হলো- মুক্তিযুদ্ধকে যেমন আমরা ব্যক্তিকরণ করে রাজনীতিকরণের পক্ষপাতি নই, তেমনিভাবে ২ ও ৩ মার্চকে ব্যক্তিকরণ করে রাজনীতিকরণের অপপ্রয়াসেরও আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
- আরও পড়ুন >> ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি তুলে দেওয়া উচিৎ?