গত একদিনে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭ জন। উল্লেখিত সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬১৯ জনের দেহে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন শনাক্তের সংখ্যা ছয়শোর বেশি।
এর আগে গতকাল বুধবার ৬১৪ জন শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা গত ৩৬ দিন পর সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি ৬০২ জন শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। এরপর পাঁচ সপ্তাহ ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয়শর নিচে ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২১৯টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪১ লাখ ৫ হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যে ৭ জন মারা গেছেন তাদের পাঁচজন পুরুষ দুজন নারী। এরা সবাই ষাটোর্ধ্ব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৪১ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৪৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে রয়েছে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেবছরের ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।