প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় মিলেমিশে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে বসবাস করে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহসভাপতি কর্মবীর ভদন্ত জিনানন্দ মহাথেরের জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর কাছে দৃশ্যমান।’
এ দেশের বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ সকল প্রকার কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা লাভে বৌদ্ধ জনসাধারণ ও বৌদ্ধভিক্ষুরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। এ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা আবহমানকাল ধরে পাশাপাশি বসবাস করে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। এ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধধর্মীয় গুরুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার মহাবোধি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহসভাপতি কর্মবীর ভদন্ত জিনানন্দ মহাথেরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মবীর ভদন্ত জিনানন্দ মহাথের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে মানবতার কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি অনেক শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। দেশ-বিদেশে সংঘ সমাজ ও গৃহী সমাজের ঐক্য, সংহতি, সৌহার্দ্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি সারাজীবন ধর্মবাণীর মাধ্যমে উপদেশ দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মবীর ভদন্ত জিনানন্দ মহাথেরের জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে ‘জিনানন্দ দ্যুতি’ স্মারক গ্রন্থটির মাধ্যমে জাতীয় জীবনে তার অবদান সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। এ সুন্দর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।