সিনেট নির্বাচনে রাজধানীতে ধরাশায়ী হওয়ার পর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দলীয় কর্মকর্তাদের বরাতে দোহাভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
৯৬ সদস্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৪৮ আসনে বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী ভোটে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের আইনপ্রণেতারা ভোট দেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিটিআই ১৮টি নতুন আসন, পিপিপি চারটি, পিএমএল-এন পাঁচটি নতুন আসন পেয়েছে।
ইসলামাবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ডা. আবদুল হাফিজ শেখ হেরে গেছেন ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে। হের যাওয়ার পর উল্লসিত বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যদি ইমরান খানের কোনো সম্মান থাকে, তবে তার নিজেরই উচিত পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। ইমরান খানের আজই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, তার পদত্যাগের দাবি কেবল বিরোধী দলগুলোরই নয়, সরকারি দলের নেতৃত্বও তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
ইমরান খানের জন্য বড় ধাক্কাটি হলো— ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আবদুল হাফিজ শেখকে হারিয়ে ইসলামাবাদ থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
পিপিপির প্রার্থী গিলানি পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম) জোটেরও সমর্থন পেয়েছেন।
দেশটির নির্বাচনে গিলানি-শেখের এই লড়াইয়ে ব্যাপক প্রতীকী মূল্য রয়েছে। পিডিএম জানিয়েছে, গিলানির বিজয়ের অর্থ হচ্ছে— প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিলওয়াল বলছেন, এটি গণতন্ত্রের বিজয়। গণতন্ত্রই হচ্ছে সর্বোত্তম প্রতিশোধ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরাইশি বলেন, আইনপ্রণেতাদের ভোট পেতে বিরোধীদলগুলো অসাধু উপায় অবলম্বন করেছে। ইমরান খান ও তার দল সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোট চাইবে।
তিনি বলেন, যে যেখানেই থাকুক না কেন, এটা সবার কাছে পরিষ্কার, যারা ইমরান খানের পাশে দাঁড়াবেন, তারা দৃশ্যমান হবেন। কিন্তু যারা তার সঙ্গে থাকতে চাচ্ছেন না, তারা অবশ্যই বিরোধীদের আদর্শ পছন্দ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।