বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘চির অম্লান’ : ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবার জাপানি ভাষায়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ যা ‘চির অম্লান’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল।’

universel cardiac hospital

শনিবার (৬ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ওই ভাষণ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে। তার এ উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। প্রায় ১৯ মিনিটের এ ভাষণে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার দেয়া স্বাধীনতার ডাক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্ববাসীর জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমিত শক্তির উৎস ছিল ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাদের ইতিহাস এবং জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য অধ্যায়। কালজয়ী এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের সবসময় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

তারা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা, যা কেবল একাত্তরেই নয়, বর্তমান সময়েও আমাদের অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। দুর্নীতি-র্দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথা জনগণের মুক্তির লড়াই-সংগ্রামে তার এই ভাষণ আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

ন্যাপ নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের একদিন পর ৯ মার্চ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী তার চিরাচরিত দরাজ কণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘হে বাঙালিরা, আপনারা মুজিবের উপর বিশ্বাস রাখেন, তাকে খামোখা কেউ অবিশ্বাস করবেন না, কারণ মুজিবকে আমি ভালোভাবে চিনি।’ ওই জনসভায় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মুজিবের নির্দেশ মতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কিছু না হলে আমি শেখ মুজিবের সঙ্গে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলব।’ মওলানা ভাসানী এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করলেন।

তারা বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের ৯ মার্চ মওলানা ভাসানীর ভাষণের পর প্রধান দুই নেতা একসঙ্গে একই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ঐকমত্য প্রকাশ করেন, তখন স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে না।

শেয়ার করুন