যারা আওয়ামী লীগ করেও নির্বাচন এলে নৌকা মার্কার বিপক্ষে অবস্থান নেন তাদেরকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, যারা দলের সাথে মুনাফেকি করেন তারা দল থেকে বেরিয়ে যান। আপনাদেরকে এখানে থাকার প্রয়োজন নেই।
৬ মার্চ (শনিবার) বিকাল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ব্রাহ্মণবড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করা পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, রাতের অন্ধকারে কারা কারা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন তাদের সবার তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরা অনেক সহ্য করেছি কিন্তু আমরা আর কাউকেই ছাড় দেব না। নির্বাচন আসলে আপনাদের হাতে পায়ে ধরতে ধরতে হাতে ব্যথা ধরে যায়, আপনাদেরকে বুঝাতে হয় যেহেতু আওয়ামী লীগ করেন সেহেতু দয়া করে নৌকার বিপক্ষে যাবেন না। কিন্তু তারপরও আপনারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেন, এটি অত্যন্ত লজ্জার।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, আগামীতে আমি এমপি নাও হতে পারি। বিশ্বাস ঘাতকরা যাতে ভবিষ্যতে আ.লীগের কোন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তৃণমূল থেকেই খাটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দিয়ে দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাবো।
তিনি বলেন, শহরবাসী একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এই আতঙ্ক থেকে বাঁচার জন্যই তাঁরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আমাদের ছাত্রকর্মী ও মহিলাকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা প্রচুর ভোট পেয়েছি। কিন্তু যদি আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করতাম তাহলে আমরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছি, তার চেয়েও দ্বিগুণ ভোট বেশি পেতাম।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. মুসলিম মিয়া। সভাটি সঞ্চালনা করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম।
এদিন বর্ধিত সভা শেষে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু অনার্স কলেজের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ জেলা রোভার মেট কোর্স ক্যাম্প ফায়ার অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অনুুুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।