টিকা নেয়ার পরও দেশে বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, দুই ডোজ নেয়ার পরই টিকা কার্যকরী হয়। এছাড়া দুই ডোজ নেয়ার পরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির জন্য দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেই সময় পর্যন্ত সতর্ক থাকার কথা বলেছে সংস্থাটি।
শনিবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার কারণে কারো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের দুটি ডোজ শেষ হওয়ার পরেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগে। সেই পর্যন্ত সতর্ক না থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ গ্রহণের ন্যূনতম দুই সপ্তাহ পর থেকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ সক্ষমতা তৈরি হয়। তাই এই সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
এই কারণে ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে ও পরেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড টিকা দেয়া হচ্ছে, যা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার পর একজন সচিবসহ বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতেই এর ব্যাখ্যা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত দেশে টিকা নিয়েছেন ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৩ জন আর নারী ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৭২৯ জন। এদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৮২৫ জনের। আর আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৯ লাখ দুই হাজার ৯৪৮ জন।