দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের একবছর পূর্ণ হয়েছে আজ। গত বছরের ৮ মার্চ বিদেশ ফেরত দুই জন এবং তাদের এক পরিবারের সদস্যের প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। প্রথম শনাক্তের দশদিন পর দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪৬২ জনের। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ৩ জন। এখনো করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৬৫ জন।
দেশে করোনার এক বছরের মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল। ২ জুলাই একদিনে ৪ হাজার ১৯ জন আক্রান্ত হন। আর সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল জুন মাসে। ৩০ জুন একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড হয় ৬৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে একমাত্র আইইডিসিআর ছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য আর কোথাও আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি ছিল না। বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৩২ হাজার ২১৩টি।
চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করা হয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার গণ টিকাদান শুরু হয় ৮ ফেব্রুয়ারি।
এ পর্যন্ত দেশে টিকা নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫২ জন। মোট টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ২৪ লাখ ২০ হাজার ৮৫৩ জন এবং নারী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৯ জন। এ পর্যন্ত টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে ৮৪৮ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীসহ সারাদেশে টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন নিবন্ধনকারীর সর্বমোট সংখ্যা ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৮০৪ জন।