৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘও ১৯৭৫ সাল থেকে দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করছে। সব কুসংস্কার ভেঙে নারীরা এখন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং চাকরিতেও বাড়ছে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ’৭০-এর দশকে যেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪ শতাংশ, এখন সেটা ৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমনকি সামরিক বাহিনী এবং সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায়ও বাড়ছে তাদের উপস্থিতি। তবে নারীর অগ্রযাত্রায় রয়েছে বিশাল চ্যালেঞ্জও। অনেক জায়গায়ই এখনো নারীর কাজের মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। অর্থনীতিতে নারীর অবদানের স্বীকৃতিও মিলছে না। ধর্ষণ এবং হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। আগের তুলনায় নির্যাতনের ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়লেও বন্ধ হয়নি। যৌতুকের প্রবণতা কমলেও সহনীয় মাত্রায় আসেনি। এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্বনারী দিবস।
আমরা মনে করি, আমাদের রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নারীকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। কাজেই সর্বক্ষেত্রে নারীর অবদান সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে অর্থনীতিতে অবদান বাড়ানোর জন্য কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও জরুরি।