জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের পদক্ষেপে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতিটি ধারার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মানবাধিকার, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অর্ধশতাধিকেরও বেশি বিশেষজ্ঞের করা একটি স্বাধীন প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক থিংক ট্যাংক নিউলাইন ইনস্টিটিউট ফল স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি।-খবর সিএনএনের।
এতে দাবি করা হয়, উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার রাষ্ট্রীয় দায় চীন সরকারকে বহন করতে হবে। এতে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতিটি ধারার লঙ্ঘন ঘটেছে।
জিনজিয়াংয়ের গণহত্যার অভিযোগের ওপর এই প্রথমবারের মতো কোনো বেসরকারি সংস্থা স্বাধীন আইনগত বিশ্লেষণ দিয়েছে। এমনকি অভিযোগে উঠে আসা অপরাধের কী কী দায় চীনের ওপর বর্তায় প্রতিবেদনেও তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অঞ্চলটিতে বিশাল বন্দিশিবিরে ২০ লাখের বেশি উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানদের আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ, যৌন নির্যাতন ও বলপূর্বক সন্তান জন্মদান রোধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। তাদের দাবি, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা প্রতিরোধে এমন বন্দিখানার দরকার আছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ই বলেন, গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি জিনজিয়াংয়ে চীনের গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউলাইনের বিশেষ উদ্যোগগুলোর পরিচালক ও প্রতিবেদনের সহ-লেখক আজিম ইব্রাহীম বলেন, গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণে বিপুল তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির নেতৃবৃন্দ এই গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।
১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় গণহত্যার কনভেনশনের অনুমোদন দেওয়া হয়। যাতে এই অপরাধের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫১টি দেশের সঙ্গে চীনও এই কনভেনশনে সই করেছে।
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, কোনো সম্প্রদায় ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পুরোপুরি কিংবা আংশিক ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা কাজই গণহত্যা।