যে অপশক্তি ধর্মের নামে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করে রাখতে চায়, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ‘এ সরকারের আমলে দেশের নারীরা অধিকার বঞ্চিত,’ নারী দিবসে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিং করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার নারীদের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাদের কর্মের স্বীকৃতিতে বিশ্বাসী। নারীদের সম্মান এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিতও হয়েছে। যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি বয়ে আনছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সরাসরি ভোটে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে, জাতীয় সংসদে বাড়ানো হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসন। নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং পেশায় বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নারীদের দিয়েছেন অনন্য স্বীকৃতি। অথচ ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে যত সরকার এসেছে, তারা নারীদের পিছিয়ে রাখতে চেয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন তার সরকার, নারী বান্ধব সরকার।’
বিএনপি শাসনামলে নারী নির্যাতনের ফিরিস্তি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফাহিমা, পূর্ণিমার মতো হাজারো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সংখ্যালঘু নারীদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল তা ৭১-এর পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা সরকার একদিকে নারীর প্রতি লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর, অপরদিকে নারী উন্নয়নের সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতেও সচেষ্ট থেকেছে। এদেশের নারীরা বন্দি নয়, বরং শেখ হাসিনা তাদের দেখিয়েছেন সম্ভাবনার মুক্ত আকাশ। তাদের হাতে হাতে এখন বিশ্বজয়ের প্রযুক্তি, ঘরে বসে আয় করছে লাখ লাখ নারী। গৃহকোণ থেকে মোবাইলে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ করছে দেশ-বিদেশে, নিচ্ছে তথ্য সেবা।’