ভাড়া দিতে না পারায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে চলন্ত বাস থেকে প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার ঘটনায় যানটির চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। তারা হলেন ‘এন মল্লিক’ পরিবহনের চালক মো. সবুজ মিয়া এবং তার সহকারী মো. নাহিদ। জব্দ করা হয়েছে বাসটিও।
মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জের কুটিয়ামাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত রবিবার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর বাজার এলাকায় বাস থেকে বাকপ্রতিবন্ধী ওই নারীকে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনাটির একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, সেদিন সকাল পৌনে নয়টার দিকে এন মল্লিক নামের একটি বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয় বোরকা পরা ওই নারীকে। মাটিতে পড়ে তিনি অস্ফুট স্বরে গোঙাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে মাটি থেকে তোলেন। ভিডিও চিত্রেই দেখা যায়, গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৩-১৫২১। এন মল্লিক বাসটি গুলিস্তান-নবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনকে ওই নারী বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি কথা না বলে ঘটনার সারমর্ম লিখে দেন। এতে সবাই বুঝতে পারেন তিনি বাক প্রতিবন্ধী।
টাইলসের ওপর তার সেসব লেখার একটি স্থিরচিত্র সংগ্রহ করেছে। সেখানে ওই নারী লিখেছেন, ‘এন মল্লিক কোনাখোলা থেকে উঠাইসে। ভাড়া নাই। এন মল্লিক কোনো দিনও আমার থেকে ভাড়া নেয় না। এরা ভাড়া চায়। দিতে না পারায় এমুন ব্যবহার। এন মল্লিকের সবাই আমাকে চেনে। ও মনে হয় চিনে নাই। তাই বুজাবার চেষ্টা করসিলাম।’