বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমাকে টার্গেট করে বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। আমার পাশে যে ছেলেটা থাকে সে গুলি খেয়ে পড়ে গেল। আমাকে শুইয়ে দিয়ে আমার উপরে কাইয়ুম মাস্টার নামে একজন শুয়েছিল। আমি শুধু আল্লাহকে ডাকছিলাম।
আজ বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এখন কী করবেন, জানতে চাইলে কাদের মির্জা বলেন, আপাতত আমি শান্ত আছি। আমাকে নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, শান্ত থাকার জন্য। উনারা কী করেন আমি দেখি। না হলে এর পরবর্তী পর্যায়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমি ব্যবস্থা নেব।
মামলা করবেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মামলার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। পুলিশ আমার আগের মামলাও নেয়নি। তারা বলে আমার অভিযোগ নাকি উপরে চলে গেছে। আসলে এখানকার প্রশাসন সব বায়াস্ট হয়ে গেছে।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, আমাদের ডাকা প্রতিবাদ সভায় হামলা চালিয়েছে মেয়র কাদের মির্জা বাহিনী। পরে রাতে আমাদের অনুপস্থিততে আবারো গুলিবর্ষণ করে আমার বাড়ির পাশের গরিব সিএনজিচালক আলাউদ্দিনকে হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামের এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।
সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও ছয় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ১২ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।