২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। মৃতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৯৬ জনে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৮ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১৩ জন। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমেছে। বেড়েছে শনাক্তের হার।
বুধবার (১০মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ২৯৯টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৭ হাজার ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৮ জন। এনিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০টি।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৪২৪ জন (৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ) ও নারী দুই হাজার ৭২ জন (২৪ শূন্য ৩৯ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন এবং ষাটোর্ধ্ব তিনজন। বিভাগওয়ারী হিসেবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চারজন, চট্টগ্রামে দুইজন এবং বরিশালে একজন মারা যান।