বসুরহাটে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, তিন পুলিশসহ আহত ২৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বসুরহাট

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে আবারো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের এই সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় সংঘর্ষকারীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ, গাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশে, রূপালী চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিন নামে একজন মারা যান। তার বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরোধ চলে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। সম্প্রতি দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক নিহত হন।

শেয়ার করুন