দেশে কিডনি রোগী দুই কোটি, ৫০ লাখই শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি
কিডনি। ফাইল ছবি

দিনে দিনে বাড়ছে দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বর্তমানে কম হলেও ২ কোটি মানুষ নানা ধরনের কিডনি সমস্যায় ভুগছে। তবে আশঙ্কার কথা হলো এদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী।

এমন বাস্তবতায় কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে সর্বপ্রথম জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে চিকিৎসার খরচ আরও সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম।

বিএসএমএমইউয়ে এ পর্যন্ত ১১ জন কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন বলে এসময় জানানো হয়। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালসহ কয়েকটি সেন্টারে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে বলে জানান ডা. আফরোজা।

বিএসএমএমইউর শহীদ মিলন হলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের কিডনি রোগীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডা. আফরোজা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শিশু দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যায় ভুগছে, যাদের মাত্র ১০ ভাগ পরিপূর্ণ বা আংশিক চিকিৎসা নিয়েছে।

এই কিডনি বিশেষজ্ঞ জানান, বিশ্বে প্রতি ঘণ্টায় কিডনি রোগে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগছে, যা ডায়াবেটিস রোগীর দ্বিগুণ।

মিট দ্য প্রেসে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে সর্বপ্রথম আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে চিকিৎসার খরচ আরও সহজলভ্য করতে হবে। এখনও দেশের কোনো উপজেলায় কারও কিডনি রোগ হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যায় না। এমনকি জেলা পর্যায়েও একই অবস্থা।’

সবখানে ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের পরামর্শ দিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সরকার কিডনি রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। রোগীর চিকিৎসায় ব্যয় কমাতে হবে।’

কনক বড়ুয়া বলেন, বিএসএমএমইউতে নেফ্রোলজি বিভাগকে আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। শিশু কিডনি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসায় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন