সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ৫ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকার চক্ষুসেবা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পাঁচটি বিভাগের আওতাধীন ২০টি জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে ঘরে বসেই মানুষ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে এমনটা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে দরকার সুস্থ মানুষ। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণ সেবা পাচ্ছে। প্রান্তিক মানুষ যাতে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পায় সেজন্য এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ চালু করা হবে।
দেশের মানুষের শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছিলাম। পরবর্তীতে সেগুলোর প্রতি অবহেলা করা হয়। তবে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা আবারও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে শুরু করি। এ দেশের মানুষ চিকিৎসা পাবে না, তা হতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূলের মানুষের চক্ষুসেবা নিশ্চিতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ এখন সহজে চক্ষুসেবা পাবেন। তিনি আরও বলেন, জন্মান্ধের হার কমাতে প্রসূতি মাকে চিকিৎসা দেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে শিশুদের মধ্যে জন্মান্ধ হওয়ার হার কমেছে। আমরা চাই দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, যে সম্ভাবনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তা নস্যাত করা হয়। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমার লক্ষ্য। তবে আমাদের প্রতি আস্থা রাখায় দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যে দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। কোনও মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না, এ জন্য কাজ চলছে। নদী ভাঙা মানুষসহ দ্ররিদ্র জনগোষ্ঠির ঘর তৈরিতে কাজ করছি। কারণ জাতির পিতা চেয়েছিলেন মানুষের কষ্ট দূর করতে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে চলছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষ পাচ্ছেন। অন্ধত্ব থেকে মানুষকে রক্ষায় এখন আমরা কাজ করছি। জাতির পিতা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা রাখি। কারও কাছে হাত না পেতে মর্যাদা নিয়ে আমরা চলতে পারবো, এমন দেশ গঠনেই আমরা কাজ করছি।
করোনার টিকা কার্যক্রমে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য টিকা নিতে নাম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক বলে জানান সরকারপ্রধান।