সামরিক জান্তার হত্যার নির্দেশ পালন করবে না বলে মিয়ানমারের ১৯৮ জন পুলিশ ভারতে পালিয়ে গেছেন। খবর এএফপি নিউজ এজেন্সির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেনা কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার করছে, মারধর করছে। পুলিশকে তাদের নির্দেশ মানতে বাধ্য করছে। কিছু মানুষ বিক্ষোভ না করলেও শুধুমাত্র ছবি তোলার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিছু পুলিশ সদস্য প্রতিবাদকারীদের মারধর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তারা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
গত মাসে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। প্রতিবাদ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, ইন্টারনেট বন্ধ, গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিলসহ সহিংস পথ বেছে নিয়েছে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবারও সামরিক জান্তার আদেশ অমান্য করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রপন্থীরা। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালাইসহ আরও কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে।
মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, মিয়ানমারের সর্বত্র বিক্ষোভ শুরু হলে বাহিনীর উপর থেকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করার সাহস আমাদের নেই।
স্থানীয় গণমাধ্যম মিয়ানমার নাউ একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে গেছেন।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত মিয়ানমার নাউ নিশ্চিত হয়েছে যে, কায়াহ প্রদেশ থেকে ৬০ জন, চিন রাজ্য থেকে ৪৫ জন, নেপিদো এবং মান্দালাই থেকে শতাধিক পুলিশ পালিয়ে গেছে।
মিয়ানমারের রাজবন্দিদের সহযোগী সংগঠন (এএপিপি) জানিয়েছে, ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ অবৈধভাবে ১ হাজার ৭শ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, নিহত হয়েছে ৭০ জনের বেশি।