থমাস টুখেল অপরাজিতই থাকলেন। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের জায়গায় এই জার্মান ম্যানেজার হওয়ার পরে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে চেলসি টানা ১২ ম্যাচ হারল না। প্রিমিয়ার লিগে শনিবার তারা লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল।
ম্যাচে গোল না হলেও যে কোনও দলই জিততে পারত। বারবার নিশ্চিত গোলের শট আটকে গেল পোস্টে বল লেগে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দুই দলের গোলরক্ষককেই নিতে হল ত্রাতার ভূমিকা। তার মধ্যে চেলসির কাই হ্যাভার্টজ দুবার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। লিডসকে হারাতে না পেরে হতাশ হওয়ারই কথা টুখেলের। এই ম্যাচটা জিতলে লেস্টার সিটিকে পিছনে ফেলে চেলসি পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে যেত।
তবে, ফুটবল মহল তাঁর টানা অপরাজিত থাকার নজিরকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই আত্মবিশ্বাস চেলসির কাজে লাগবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ম্যাচে। সঙ্গে ২১ মার্চ এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের খেলা আছে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে।
প্রিমিয়ার লিগে টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত থাকল চেলসি। অতীতে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরে নিজেদের ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগে এতদিন অপরাজিত রাখার নজির রয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্টের ফ্র্যাঙ্ক ক্লার্ক ও চেলসিরই মাউরিসিয়ো সারির। শেষ পাঁচ ম্যাচে চেলসির বিরুদ্ধে গোল হয়নি। কিন্তু লিডসের বিরুদ্ধে চেলসির গোল করতে না পারার বিষয়টিও উঠে এল।
টুখেল অবশ্য তার জন্য দায়ী করলেন এল্যান্ড রোড স্টেডিয়ামের বৃষ্টি ভেজা মাঠকে। বললেন, ‘এই রকম মাঠে ভাল ফুটবল হওয়া কার্যত অসম্ভব। পুরো মাঠটাই মারাত্মক পিচ্ছিল ছিল। বল উল্টোপাল্টা লাফিয়েছেও। তার মধ্যে বেশ কয়েকবার ছেলেরা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করল।’
তিনি আরো বলেন, ‘লিডসও ভালো খেলেছে। মাঝেমাঝে ওরা চাপেও ফেলছিল। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে দরকার গোল করে এগিয়ে যাওয়ার। তাহলে বিপক্ষের চাপ নিয়ে উদ্বেগ থাকে না। সেই কাজটাই পারিনি।’
পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে থাকলেও তৃতীয় লেস্টার সিটি এখন চেলসির থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট এগিয়ে। টুখেলের ক্লাবের পয়েন্ট ২৯ ম্যাচে ৫১। লেস্টারের ২৮ ম্যাচে ৫৩। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ২৯ ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণাধীন দলের পয়েন্ট ৬৮।
