বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হবে ২০২৬ সালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী
ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ বিবেচনায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল হিসেবে বাংলাদেশকে তিন বছরের স্থলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল সুপারিশ করেছে কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)। ফলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হবে।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশন : ইমপ্যাক্ট অন আরএমজি’ বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে সিডিপি কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রস্তুতিকাল হিসেবে বাংলাদেশকে তিন বছরের স্থলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হবে, যার ঘাত-প্রতিঘাত রফতানি বাণিজ্যেই প্রথম অনুভূত হবে।

সামগ্রিকভাবে এ উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর প্রভাব কেমন হবে, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো কী হতে পারে তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ও ভবিষ্যতে কী করা প্রয়োজন হবে সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে এর প্রভাব কী সে বিষয়গুলো কি-নোট পেপারে আলোচিত হয়।

বাংলাদেশ এসব চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবে বলে বাণিজ্য সচিব মূল প্রবন্ধে জানান।

প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, প্যানেল আলোচক এবং উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থা এবং বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উত্তরণের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ নীতি-কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ।

এছাড়া কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাসহ অর্থ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, ইপিবি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিলস-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন