রোজার আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি করল সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা এবং বোতলজাত তেলে ৪ টাকা বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় তেলে দাম পুননির্ধারণ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসি বিষয়টি জানান।
নতুন মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা, যা আগে ছিলে ১১৫ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল মন্ত্রণালয়।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ১ লিটার খোলা সয়াবিন মিলগেটে ১১৩ টাকা, ডিলারের কাছে ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ১২৭ টাকা, ডিলার ১৩১ টাকা, খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম মিলগেটে ৬২০ টাকা, ডিলারের কাছে ৬৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে ১ লিটারের পামতেল লুজ (সুপার) তেলের দাম মিলগেটে ১০৪ টাকা, ডিলারের কাছে ১০৬ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১০৯ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে যে তেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, গত জুলাই মাস থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম (এফওবি) ১ হাজার ২৭৫ ডলার এবং পাম তেলের দাম (এফওবি) ১ হাজার ৩৭ ডলার।
পাশাপাশি পরিবহন খরচ ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ এবং বোতলের কাঁচামাল রেজিনের দাম ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে এসব বিষয়ও বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।