সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র এক ঘণ্টার লেনদেনে কয়েক দফা সূচকের উত্থান-পতন হয়েছে।
এই উত্থান-পতনের মধ্যে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকে ৬ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতার পাশাপাশি দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এক ঘণ্টার লেনদেনে ১৫০ কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে।
এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। এতে প্রথম মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বাড়ে।
কিন্তু লেনদেনের সময় পাঁচ মিনিট না গড়াতেই বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে ডিএসই প্রধান সূচক এক পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক।
১৫ মিনিটের লেনদেনের পর ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ১০ মিনিটের ব্যবধানে সূচক আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ১০টা ২৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যায়।
এ পতন প্রবণতা কাটতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। পতনের তালিকায় নাম লেখানো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়িয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। ফলে উর্ধ্বমুখী হয় বাজার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির। আর ১১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮২ কোটি ৬৪ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।