চীনে দ্বিতীয়বার মুক্তির বদৌলতে সর্বকালের সেরা আয়ের সিনেমার তকমা ফের নিজের করে নিয়েছে ব্লকবাস্টার সিনেমা অ্যাভাটার।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি প্রথম মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এরপর এক দশক ধরে বৈশ্বিক বক্স অফিসে আলোড়ন তোলা সিনেমা ছিল এটি। এ সময়ে আয়ের দিক থেকে অ্যাভাটারকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কেউ।
২০১৯ সালে ‘মার্ভেল’স অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ এসে সিংহাসনচ্যুত করে অ্যাভাটারকে। কিন্তু সেই তকমা আবার ফিরে ফেল চলতি সপ্তাহে।
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় বাজার চীনে ফের মুক্তি পেয়েছে অ্যাভাটার। এতে সপ্তাহ শেষে এটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারে।
মহামারীর লকডাউনের চীনা চলচ্চিত্র বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। কেবল শুক্রবারেই জেমস ক্যামরনের সিনেমাটি চল্লিশ লাখ ডলার আয় করেছে। এতে এন্ডগেমের চেয়ে এগিয়ে যায় অ্যাভাটার।
দুটি চলচ্চিত্রের স্বত্বাধিকার ওয়াল্ট ডিজনি। সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা আরেক সিনেমা টাইটানিকও এই একই প্রতিষ্ঠানের।
বছর দুয়েক আগে অ্যাভাটারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এন্ডগেমকে শুভেচ্ছা জানান ক্যামেরন। সঙ্গে কাল্পনিক অ্যাভাটারের দুনিয়া প্যান্ডোরার ওপর আয়রন ম্যানের একটি ছবি বসিয়ে তা টুইটারে পোস্ট করেন।
এখন অ্যাভাটারের পরবর্তী সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত তিনি। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সময় বেশ কয়েকবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সারা বিশ্বের রুপালি পর্দায় দেখা যাবে সিক্যুয়েলটি।
অ্যাভাটারের প্রযোজক জন ল্যান্ডো বলেন, এমন বিশাল মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরে আমরা গর্বিত। এই নজিরবিহীন সময়ে চলচ্চিত্রটি আবার প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসায় আমি ও ক্যামেরন বেশ রোমাঞ্চিত। চীনা ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে পারছি না।
অ্যাভাটারের পটভূমি একদল লোভী মানুষ আর নিরীহ প্যানডোরাবাসির মধ্যে এক অসম কিন্তু সাহসি যুদ্ধ নিয়ে।
কাহিনীর সূত্রপাত ২১৫৪ সালে, যখন আর.ডি.এ আনঅবটেনিয়ামের খোঁজে প্যানডোরা নামক পৃথিবীর মত এক গ্রহে গিয়ে মানুষ হাজির হয়। যার আবহাওয়া মানুষের নিঃশ্বাস উপযোগী নয়।
এই গ্রহের অধিবাসীদের বলা হয় নাভি। নাভিরা তাদের গ্রহে খুব আনন্দেই বসবাস করছিল যতদিন পর্যন্ত না মানুষের অসাধু ইচ্ছা প্রকাশিত না হয়।
নাভিদের পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা নাভিদের মত দেখতে কিছু দেহ তৈরি করলেন, যা কিনা যন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।