অর্থপাচারের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবেদ হাসানসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদারের সহযোগী।
আজ মঙ্গলবার বিকালে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদেরকে মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
ইন্টারন্যানাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া বাকি দুজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পি কে হালদারের বান্ধবী নাহিদা রুনাই এবং সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা তারা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে এই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করে অপরাধ করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
গত ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পাঁচটি ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ৩৩ জনকে আসামি করে পাঁচটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় এই তিনজনকেও আসামি করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পি কে হালদারের আরও ৩৩জন সহযোগীর সম্পদ বিবরণীর দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। শিগগির এদের বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করা হবে।
এছাড়া পি কে হালদারের সহযোগী ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমসহ ৪৫ জনের ইমিগ্রেশন বন্ধ চেয়ে ইমিগ্রেশন অথরিটির কাছে পত্র দেয়া হয়েছে।