৩০ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার ঘর : প্রকল্প একনেকে উঠছে আজ

বিশেষ প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফাইল ছবি

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের ৩০ হাজার ঘর বা বীর নিবাস নির্মাণ করে দেবে সরকার। তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে উপহার হিসেবে বীর নিবাসগুলো দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ লক্ষ্যে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) অনুমোদন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (মহানগর সংশ্লিষ্ট) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।

universel cardiac hospital

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে খরচ হবে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পুরো অর্থই সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করা হবে। দেশের সবগুলো বিভাগের ৬৪টি জেলার সব উপজেলা ও মহানগরে বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা আগামীকাল সুখবর পেতে যাচ্ছেন। তাদের বীর নিবাস করে দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন এ ঘর। যারা একেবারে পঙ্গু, কিছুই করতে পারেন না, তারাও পাবেন।

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারাই যে ঘরগুলো পাবেন, তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তাদের শনাক্ত করার জন্য নীতিমালা আছে, তিনটা কমিটি আছে। প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাছাই করবেন। তারপর কারও আপত্তি থাকলে জেলা প্রশাসকের কাছে জানাতে পারবেন। সেখানেও ন্যায়বিচার না পেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপত্তি জানানো যাবে। তারপরও যদি কেউ আপত্তি করে যে, ন্যায়বিচার পাননি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারবে। এ সংক্রান্ত যে কমিটি আছে, তারা সরাসরি গিয়ে দেখবে যে, সেই মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছল কি না।

প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা নিবাস
বীর নিবাস। ফাইল ছবি

এ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ, অফিস সরঞ্জামাদি ক্রয়, আউট সোর্সিং সেবা ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, সম্মানি/পারিতোষিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ইত্যাদি কেনা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামত ছিল- প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।

এ অবস্থায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে একনেককে সুপারিশ করে পরিকল্পনা কমিশন।

শেয়ার করুন