সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) লেনদেনের শুরুতেই ধসের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
ব্যাংকের লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার সংবাদে আগের দিন বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়লেও, আজ তার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাংক পতনের খাতায় নাম লেখাতে থাকে। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে ১৮টি ব্যাংক পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র তিনটির।
ব্যাংক কোম্পানিগুলো পতনের মধ্যে পড়ায় শুরু থেকেই অন্যান্য খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। এতে পাঁচ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট পড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এতে প্রথম ঘণ্টাতেই ধসে রূপ নেয় শেয়ারবাজার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১৪ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্টে পড়ে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮২টির। আর ১০০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৭৭ কোটি ৫ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৬২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২১টির, কমেছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।