বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও অতিথিরা। ফলে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে বিভিন্ন সড়কে সাধারণ মানুষের চলালচ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ কারণেই ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত এই ১০ দিন রাজধানীবাসীকে চলাচল সীমিত করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংস্থাটি এই আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে বিদেশি ভিআইপি অতিথিদের আগমন ও আয়োজিত অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর বাইরে ঢাকা মহনাগরীর রাস্তা, ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ হকার মুক্ত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। যা শুরু হয়েছে গত ১৭ মার্চ। এদিন রাজধানীর তেজগাঁ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ উপস্থিত ছিলেন। আজ সকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ঢাকায় এসেছেন। এছাড়া ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।
কখন কোন সড়ক ব্যবহার করবেন রাষ্ট্রপ্রধানরা
২০ মার্চ: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন।
২২ মার্চ: রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রওনা দিয়ে সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন। এরপর আবার তিনি বঙ্গভবনে ফিরবেন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পৌঁছাবেন। এরপর বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে হোটেল থেকে বেরিয়ে ৩টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যাবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যাবেন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে রওনা দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফিরবেন।
২৩ মার্চ: হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে দুপুর ২টায় বেরিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বারিধারায় যাবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।
২৪ মার্চ: ভুটানের প্রেসিডেন্ট দুপুর ২টা ৫ মিনিটে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বেরিয়ে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে রওনা দিয়ে বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে পৌঁছাবেন ভুটানের প্রেসিডেন্ট।
ভুটানের প্রেসিডেন্ট বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিকাল ৫টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যাবেন।
২৫ মার্চ: হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ভুটানের প্রেসিডেন্ট সকাল ৮টায় রওনা দিয়ে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন।
২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন।