মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার পর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন রাজাপাকসে ও তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
ঢাকা সফরকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
ঢাকায় পৌঁছানো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাহিন্দা রাজাপাকসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, পর্যটন ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৭২ সালের ৪ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শ্রীলঙ্কা। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, সার্ক, বিমসটেকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘদিন ধরেই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে দুই দেশ।
উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, কৃষি, উচ্চশিক্ষাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা রয়েছে। বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনাও এগিয়ে অনেক দূর। এমন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।