ঢাবি ও মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচিতে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ ও তার অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জুবায়ের আহমেদসহ দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি চলছিলো। কর্মসূচি চলাকালে প্রোগ্রামের সাউন্ড সিস্টেমে যারা কাজ করছিলেন তাদেরকে কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা এক ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এদিকে মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা ভিন্ন ধরণের নির্দেশনা দিতে থাকেন। সাউন্ড সিস্টেমে কাজ করতে থাকা লোকজন মহানগর ছাত্রলীগের দেয়া নির্দেশনা না শুনলে তাদের উপর চড়াও হয় মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাদ্দাম হোসেনের কয়কজন অনুসারী বলেন, শহীদ মিনার এলাকা জুবায়ের আহমেদের কর্মী দিয়ে ভরপুর। অন্যদিকে সাদ্দাম হোসেনের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জুবায়ের আহমেদের নেতাকর্মীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন।

তারা জানান, হামলার পর তারা শহীদ মিনারে থাকা রাষ্ট্রীয় অতিথিদের ছবি সহ ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও সাউন্ড সিস্টেম ভেঙে ফেলে জুবায়ের অনুসারীরা।

ঘটনার বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা (মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে। শহীদ মিনারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। সাউন্ড সিস্টেম ধ্বংস করেছে তথা সাংগঠনিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। আমরা কেন্দ্রকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করবো তারা দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমি স্লোগান দেয়ার জন্য সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলেছিলাম। সাউন্ড বক্স বন্ধ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছেলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। পরে আমি একটু বন্ধ রাখতে বললে আমাকে আঘাত করে। তখন আমি তাদের সরিয়ে দেই। আমি সরিয়ে দেয়ার পর তারা পেছন থেকে আবার আঘাত করে। তখন আমরা সেখান থেকে সরে যাই। তাদের হামলার কারণে আমি মুখে এবং হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য এসে পরিস্থিতি সামাল দিলে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে একপাশে সরে যাই।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সাদ্দাম নিজে ইন্ধন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছেন। আমি পরিচয় দেয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা করেছে। এতে আমার মুখ কেটে রক্ত বেরিয়েছে। এখন উল্টো সাদ্দাম মিথ্যাচার করছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, মারধরের ঘটনা ঘটেনি। শুনলাম কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন