শাল্লার ঘটনায় দুই মামলা, রাতভর অভিযানে আটক ২২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর
ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে ২২ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।

নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।

ঘটনার উস্কানিদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) স্বাধীন মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়ছে। এছাড়াও দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের আরও দেড় সহস্রাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।

শাল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, রাতভর চালানো অভিযানে আটক ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।

ওসি নাজমুল আরও জানান, পুলিশের এসআই আব্দুল করিম যে মামলার বাদী হয়েছেন সেই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস নামে নোয়াগাঁও গ্রামের এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন ঝুমনকে পুলিশে দেন। পরে বুধবার সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনে গ্রামবাসী। ওই হামলার জন্য হেফাজতে ইসলামীর অনুসারীদের দায়ী করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

শেয়ার করুন