৪৫ দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৪৫ দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে সরে গেল তুরস্ক

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা এবং সুরক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক একটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে তুরস্ক। শুক্রবার (২০ মার্চ) এক প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রীর মধ্য দিয়ে এ ঘোষণা দেয় দেশটি।

এই ঘোষণাকে বড় জয় হিসাবে দেখছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টি। তবে দেশটির এই পদক্ষেপকে নারীদের জন্য ‘বড় অবনতি’ বলে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

universel cardiac hospital

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তুরস্কের পরিবার, শ্রম এবং সামাজিক নীতিবিষয়ক মন্ত্রী জেহরা জুমরাত বলেন, নারী অধিকারের নিশ্চয়তা আমাদের আইন, বিশেষ করে আমাদের সংবিধানে রয়েছে। আমাদের বিচারব্যবস্থা বহুমাত্রিক এবং প্রয়োজন পড়লে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য যথেষ্ট কঠোর।

পারিবারিক এবং অন্যান্য সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে বাধ্য করতে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত হয় ইস্তাম্বুল কনভেনশন। বিশ্বে এ ধরনের চুক্তি ছিল এটাই প্রথম।

এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও ৪৫টি দেশ স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো পারিবারিক সহিংসতা, বৈবাহিক ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা দিতে আইন প্রণয়ন করে। তবে এবার এই চুক্তি থেকে বের হয়ে গেল তুরস্ক।

এই সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানায়নি তুরস্ক। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ক্ষমতাসীন দল রক্ষণশীল একে পার্টি গত বছর চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানায়।

ওই সময়েই নারীর প্রতি সহিংসতা কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

রক্ষণশীলদের দাবি, ওই চুক্তির কারণে পারিবারিক ঐক্য নষ্ট হচ্ছে, বিচ্ছেদ উৎসাহিত হচ্ছে আর এতে বর্ণিত সমতার নীতি ব্যবহার করে সমকামী সম্প্রদায় সমাজে আরও গ্রহণযোগ্যতা লাভ করছে।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানালেও এর বিরোধিতা করছে বিরোধী দল সিএইচপি।

সিএইচপির ডেপুটি চেয়ারম্যান গোকসে গোকেন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো ‘নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা আর তাদের খুন হতে দেওয়া।’

শেয়ার করুন