সম্প্রতি একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লায় যে-ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটানো হয়েছে তা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক অপরাধ। যেহেতু এটি কোনো একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের বিষয়— যাদেরকে সচরাচর আমাদের সমাজে আলেম বলে পরিচয় দেওয়া হয়— এবং যেহেতু কোনো এক হিন্দু যুবকের ফেইসবুক লিখনীকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, সেহেতু আমরা আশা করেছিলাম যে, ওয়ারেসে রসুল বলে পরিচয়দানকারী গোষ্ঠিটি এই দুষ্কর্মের নিন্দায় সোচ্চার হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত; এমনটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। অথচ রসুল (দঃ) এর সুন্নত অনুসারে এইটা হওয়া উচিত ছিল।
বস্তুত; মুখে সুন্নতের অনুসারী বলে দাবি করলেও বাস্তবে ও কার্যত ওরা রাসুল (দঃ) ও সুন্নতের অনুসারী ও অনুগামী নয়। এদের তথাকথিত তাকছির ইত্যাদির সঙ্গে ইসলামের কোনোই সম্পর্ক নেই। এরা যেভাবে মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে তা কোনোক্রমেই ইসলামের কথা নয়।
কাজেই আমরা শাল্লার ঘটনার পূর্বে ঘটে যাওয়া নাসিরনগর, গাইবান্ধা ও রামুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি। সেই সঙ্গে যেসব দুষ্কর্মের ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে সেসব দুষ্কর্মের বিচার কাজ তরান্বিত করতেও জোর দাবি জানাচ্ছি।