বর্ণবৈষম্যহীন হোক বিশ্ব। আজ আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসেবে এটাই চাওয়া সবার। প্রতি বছর ২১ মার্চ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালিত হয়। এই বছরে এই দিবসের থিম হল ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুবসমাজ’।
২০২১ সালের বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসের মূল লক্ষ্য, বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে হয়রানি করা, তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, সমস্ত পুরাতন অভ্যাস যা সমাজের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়গুলোর বিলোপ ঘটানো।
আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসে জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বর্ণবৈষম্য প্রথম শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সার্পভিলে জাতিগত বর্ণ বৈষম্যের বিল পাশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের আয়োজন করে। যেখানে পুলিশ বিনা কারণে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায়। এতে ৬৯ জন প্রাণ হারান এবং ১৭৮ মানুষ আহত হন।
এই ঘটনার পর ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে জাতিভেদ ও বর্ণবৈষম্যের মত ভয়ানক ব্যাধিকে নির্মূল করতে সোচ্চার হয়। এই বিষয়ের উপর জাতিসংঘ নানা কর্মসূচি শুরু করে। অবশেষে ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রথম ২১ শে মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসাবে পালনের আহ্বান জানায়।
২০০১ সালে জাতিগত ভেদাভেদ ও বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরে আবার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার মূল লক্ষ্য ছিল জাতি ও বর্ণের সমস্যাকে দূরীভূত করা। এবং নতুনভাবে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি নেওয়া।
এই দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইসসিআর এর হাই কমিশনার বলেছেন, আমাদের অবশ্যই এমন একটি বিশ্বের জন্য কাজ করতে হবে যা কেবল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নয় বরং সক্রিয়ভাবে বর্ণবাদবিরোধী।