ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইলে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
১২০ আসনের পার্লামেন্ট নেসেটের কর্তৃত্ব নিয়ে সেখানে আবার রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে চলেছে বলে জনমত জরিপে উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।
পার্লামেন্টে ৬১ আসন পেলেই সরকার গঠন করতে পাবে যে কোনো দল। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জনমত জরিপের ফলে জানা গেছে। ফলে কোনো পক্ষই মন্ত্রিসভা গঠনের মতো সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
ইসরাইলের কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচনের একদিন আগে জনমত জরিপ পরিচালনা করেছে এবং তাতে এই ফল উঠে এসেছে।
ইসরাইলে গত দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থ দফা সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কোনো নির্বাচনেই কোনো দল বা জোট সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে ইসরাইলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলে আসছে।
নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই অচলাবস্থা দূর হচ্ছে না বলে আভাস দিচ্ছে ইসরাইলের টিভি চ্যানেলগুলো।
ইসরাইলের মন্ত্রিসভা গঠন করার জন্য ৬১টি আসন প্রয়োজন কিন্তু জনমত জরিপ বলছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি লিকুদ পার্টিসহ কোনো দল বা জোট এতগুলো আসন পাবে না।
নির্বাচনের বিজয়ী হওয়া নেতানিয়াহুর জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তার ওপর রাজনৈতিক চাপও সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন নেতানিয়াহু।
২০০৯ সাল থেকে টানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ৭১ বছর বয়সী কট্টরপন্থি এ লিকুদ পার্টির নেতা।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে; পাশাপাশি করোনাভাইরাসের মহামারি ব্যবস্থাপনায় চরম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা রয়েছে।