জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং (ফাইল ছবি)

মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিদর্শন বইয়ে সই করেন এবং একটি গাছ রোপন করেন।

১০টা ৫০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে বের হন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর চলাচলকে ঘিরে ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত সড়ক ছিল কঠোর নিরাপত্তার চাদরে আবৃত। এ সময় জনসাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক।

universel cardiac hospital

এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডা. শেরিংকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বিমানবন্দরে শেরিংকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরিংয়ের সম্মানে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তার এই সফর।

দিনের সফরসূচি অনুযায়ী, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডা. শেরিংয়ের সম্মানে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের ১০ দিনের অনুষ্ঠানের ৮ম দিনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। এরই মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার বাংলাদেশপ্রীতি রয়েছে। বরাবরই তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহী।

শেয়ার করুন