ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়া রাজ সিংহাসনের অন্যতম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নবিষয়ক একটি সংস্থায় চাকরি নিয়েছেন।
২০১৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লসঅ্যাঞ্জেলেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ৩৬ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি এবং তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী মেগান মার্কেল। একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এই দম্পতির ঘরে।
‘বেটারআপ’ নামের সংস্থাটি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। তিনি সংস্থাটির ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে কাজ করবেন। প্রিন্স হ্যারি নিজেই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের।
মার্কিন সংস্থা বেটারআপের সদর দপ্তর সান ফ্রান্সিসকো শহরে। বিভিন্ন পেশাজীবীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এবং আন্তরিক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
বেটারআপের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সেই রবিশাক্স গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হ্যারিকে সরাসরি সংস্থার কোনো কর্মী বা সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না।
তার কাজ মূলত কোম্পানির কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও দাতব্য উদ্যোগগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া এবং সেগুলো ঠিকমতো চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জনসমক্ষে কথা বলা।
নিজের নতুন চাকরির বিষয়ে উচ্ছ্বস প্রকাশ করে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘বেটারআপের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। যখন আমি প্রথম রবিশাক্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম, তখনই মনে হয়েছিল পেশাজীবীদের মানসিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে তাদের আরও দক্ষ করে তোলার কাজটি তারা বেশ গুরুত্বসহকারে করে।’
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রান্সিসকোয় প্রতিষ্ঠিত হয় পেশাজীবীদের কোচিং, কাউন্সিলিং এবং পরামর্শদানকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘বেটারআপ’। বিশ্বের ৬৬ দেশে ৪৯ ভাষায় সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে হ্যারি যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন, সেটি অলাভজনক সহযোগিতা সংস্তাগুলোতে দেখা গেলেও করপোরেট বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ পদটি বিরল।