তুমুল বিরোধীতা করেছিল ভারত। তারা কোনোভাবেই আইসিসির প্রস্তাবিত, ‘মাঠে আম্পায়ার্স কল’-কে বৈধতা দিতে নারাজ। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির প্রস্তাব ছিল, আম্পায়ার্স কলকেই প্রাধান্য দেয়ার। যে কমিটির চেয়ারম্যান আবার এক ভারতীয়, অনিল কুম্বলে।
আইসিসির ক্রিকেট কমিটির এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিল ভারতীয়রা। কিন্তু আইসিসি সেই বিরোধিতাকে আমলেই নিল না। ‘মাঠে থাকা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের ওপরই ভরসা রাখতে চলেছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অভিভাবক সংস্থাটি।
আগামী সপ্তাহেই রয়েছে আইসিসির প্রধান কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। সেখানেই এই নিয়মকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে বলে খবর জানানো হয়েছে। যদিও এতদিন ‘আম্পায়ার্স কল’কেই প্রাধান্য দেয়া হতো। এবার আইন করে সেটাকে চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠের কিছু সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল ‘আম্পায়ার্স কল’ বিতর্ক। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে আম্পায়ার্স কল দেওয়া হচ্ছে, তাতে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও।
কিন্তু অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন কমিটির যুক্তি, ‘বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি কখনোই শতভাগ সঠিক হয় না। তাই মাঠে থাকা আম্পায়ারদের উপরে ভরসা রাখতেই হবে।’ কুম্বলে ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, মাহেলা জয়াবর্ধনে, শন পোলকের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা।
কিছুদিন আগে ভারতীয় আম্পায়ার নিতিন মেনন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যে সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত যে কোনো দিকে যেতে পারে, সেগুলিতেই মূলত আম্পায়ার্স কল দেওয়া হয়। যেহেতু প্রযুক্তি শতভাগ নিখুঁত হয়, তাই মাঠে থাকা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকেও গ্রাহ্য করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘মানুষ জানেই না ডিআরএসে আম্পায়ার্স কল জিনিসটা কী? সেটা জানলেই আর কোনও প্রশ্ন উঠবে না।’