প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৭০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৯টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বুধবার রাতে এ তথ্য জানা যায়। এর ফলে ৩৯টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসের গণবিজ্ঞপ্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে আগামী ১১ এপ্রিল ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে মোল্লাহাট ও মোংলা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া অন্য ৭টি উপজেলায়ও অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
মোল্লাহাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, উদয়পুরে এসকে হায়দার মামুন, চুনখোলায় মনোরঞ্জন পাল, কুলিয়ায় মো. মিজানুর রহমান, গাওলায় শেখ রেজাউল কবীর, কোদালীয়ায় শেখ রফিকুল ইসলাম ও আটজুড়িতে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া।
মোংলা উপজেলার ৬ ইউনিয়নেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- সোনাইলতলায় নাসরিন আক্তার নাজিনা, বুড়িরডাঙ্গায় উদয় শংকর বিশ্বাস, চিলায় গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাইয়ে মোল্লা মো. তরিকুল ইসলাম, সুন্দরবন ইউনিয়নে মো. একরাম ইজারাদার এবং মিঠাখালীতে উৎপল কুমার মন্ডল।
বাগেরহাট সদরের ৭টির মধ্যে ৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, বেমরতায় মনোয়ার হোসেন টগর, কাড়াপাড়ায় শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, বিষ্ণুপুরে এমডি মাসুদ রানা, বারুইপাড়ায় হায়দার আলী মোড়ল, খানপুরে ফকির ফহম উদ্দিন ও ডেমায় মো. মনি মল্লিক।
শরণখোলা উপজেলার ৪টির মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, সাউথখালীতে মো. মোজাম্মেল হেসেন, রায়েন্দায় আজমল হোসেন মুক্তা, খোন্তাকাটায় জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন।
রামপালের ১০টির মধ্যে ৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, মল্লিকেরবেড়ে মো. সাবির আহমেদ তালুকদার, হুড়কায় তপন কুমার গোলদার, ভোজপাতিয়ায় তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, রামপাল সদরে মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, বাঁশতলীতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
চিতলমারীতে ৭টির মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, হিজলায় কাজী আবু শাহিন, শিবপুরে ওয়ালিউজ্জামান জুয়েল, চর বানিয়ারীতে অর্চণা রানী ঝর্ণা বড়াল, সন্তোষপুরে বিউটি আক্তার।
ফকিরহাটে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, ফকিরহাট সদরে শিরিনা আক্তার কিসলু, বেতাগায় ইউনুচ আলী, পিলজংয়ে মোড়ল জাহিদুল ইসলাম, নলদা-মৌভোগে সরদার আমিনুর রশিদ।
কচুয়ার ৭টির মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, বাধালে নকীব ফয়সাল অহিদ, গোপালপুরে এসএম আবু বক্কর সিদ্দিক, গজালিয়ায় এসএম নাসির উদ্দিন, রাড়ীপাড়ায় নাজমা আক্তার।
এছাড়া মোরেলগঞ্জে ১৬টির মধ্যে একটি মাত্র ইউনিয়ন নিশানবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটে ৭০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
এছাড়াও বেশকিছু ওয়ার্ডে একক প্রার্থী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।