মুন্সীগঞ্জে ইভটিজিং নিয়ে সালিশে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ছুরিকাঘাতে নিহত মিন্টু, সাকিব ও ইমন
ছুরিকাঘাতে নিহত মিন্টু, সাকিব ও ইমন

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে ৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ইভটিজিংয়ের ঘটনা মিমাংসায় সালিশ ডাকা হলে ভুক্তভোগীর বন্ধুরা অভিযুক্ত দুই জনকে এবং সালিশ কর্তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

বুধবার (২৪ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, ইমন পাঠান (২৩), মাহবুব হোসেন সাকিব (১৯) ও আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪৭)। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

universel cardiac hospital

নিহত ইমন উত্তর ইসলামপুর এলাকার মো. কাসেম পাঠানের ছেলে এবং সাকিব একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। নিহত ইমন হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার বাবা একজন কৃষক। একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া নিহত সাকিবের বাবা একজন অটোরিকশাচালক এবং মা একটি অফিসে চাকরি করেন। নিহত মিন্টু মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে এবং সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী।

গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হলে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত সাকিবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আওলাদ হোসেন মিন্টুর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ইভটিজিং নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ মিমাংসা করতে আওলাদ হোসেন মিন্টু তাদেরকে ডেকে আনেন। এসময় সৌরভ ও তার গ্রুপের ছেলেরা ছুরিকাঘাত করে দুই জনকে। এই সময় মিন্টু প্রধানকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইমন, সাকিব ও মিন্টু। আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সালিশে বৈঠকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

এদিকে, নিহত আওলাদ হোসেন মিন্টুর বড় ভাই ফজলুল হক ফজল দাবি করেন, এটি কোনও ইভটিজিং এর কারণে ঘটেনি। গেল পৌরসভার নির্বাচনে তার ভাই মিন্টু কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিল। সেই নির্বাচনী দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত।

শেয়ার করুন