স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বাংলাদেশ-ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতায় এই অগ্রযাত্রা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী ছিলেন। বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি তিনি স্বপ্ন দেখতেন অর্থনৈতিক মুক্তির। এজন্য পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা এবং সমতার ভিত্তিতে সহযোগিতার ওপর তিনি জোর দিতেন।
আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ভারত এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। একটি স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ভারত। ভারতের উল্লেখযোগ্য সেনা মিত্রবাহিনীতে যুদ্ধ করেছিলেন। আমি সেসব অবদানকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ব্যক্তিগতভাবেও আমি ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ। যখন আমাদের থাকার কোনো যায়গা ছিল না। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা দিল্লিতে অবস্থান করেছিলাম।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির অংশগ্রহণেও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান সবসময় স্বীকার করি। নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণ এ অনুষ্ঠানকে মহিমান্যিত করেছে।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বাংলাদেশ, ভারত ও বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।