হেফাজতের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিন্দা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থক ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন ও সমগ্র শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন চালু হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এখনো ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগান ভাঙচুর ও সমগ্র শহরজুড়ে তাণ্ডব চালানোর মাধ্যমে তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থক ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইসলামের কী খেদমত করেছে সেটি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

universel cardiac hospital
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোদিবিরোধীদের তাণ্ডব

তিনি আরও বলেন, হেফাজত সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুলার, পৌরসভা ভবন, এসপি অফিসসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদের যে ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পুর্তির প্রতি তাদের যে বিদ্বেষ এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-ই তার বহিঃপ্রকাশ। আমরা এসব সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি, আপনারা ইসলামের লেবাসধারী এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুন।

শেয়ার করুন