চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন মাদরাসা ছাত্র এবং একজন পথচারী। চারজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তিন মাদরাসাছাত্র হলেন- মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তবে মৃত অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জুমার নামাজের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা মিছিল নিয়ে হাটহাজারী থানার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ প্রথমে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে সংঘর্ষ আরও বাড়লে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে।
হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুড়েছে।
হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৭ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।