বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন নিউজিল্যান্ডে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এ সফরে সাকিব আল হাসানকে পায়নি বাংলাদেশ দল। তাকে পাওয়া যাবে না শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও।
আগামী মাসের ২১ তারিখ থেকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ও কোয়ারেন্টাইনের কারণে ১২ এপ্রিল দেশ ছাড়ার কথা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এ সিরিজ থেকেও ছুটি নিয়ে রেখেছেন সাকিব। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইপিএল খেলার কথা বলেছেন তিনি।
সাকিবের এই টেস্টের সময়ে আইপিএল খেলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন পর্যন্ত দিয়েছেন নানান রকমের প্রতিক্রিয়া। এমন কি সাকিবের আইপিএল খেলার অনাপত্তিপত্র নিয়ে আবার ভাবার কথাও বলেছিলেন ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
তবে সেসব সংশয় দূর করে দিয়ে শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে আইপিএল খেলতে ভারত উড়ে গেছেন সাকিব। তার এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের। তার মতে, সাকিব আইপিএল খেললে সেটি বাংলাদেশ দলের জন্যই ভালো হবে।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে সুজন বলেছেন, আমি মনে করি, এখানে খারাপ হওয়ার তো কিছু নাই। কারণ আপনি (সাকিব) যেখানে খেলতে যাচ্ছেন, সেটা বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররাই ওখানে খেলে। তো ওদের অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই সাকিবের জন্য কাজে লাগবে।
তিনি আরও যোগ করেন, মোস্তাফিজও মনে হয় যাবে ওখানে। আমাদের দুইটা প্লেয়ার ওখানে আইপিএল খেলতে গেলে, ভারতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভারতের কন্ডিশনও আমাদের সঙ্গে অনেকটা পরিচিত। সুতরাং অবশ্যই, আমি বলবো খারাপ তো অবশ্যই হবে না।
‘সাকিবকে ছুটি দেয়া বোর্ডেরই সিদ্ধান্ত। বোর্ড যখন এই ডিসিশন দিয়েছে, তখন তো ভুল বলা যাবে না। ক্রিকেট বোর্ড চিন্তা করেই দিয়েছে যে সাকিব আইপিএল খেলতে গেলে… সবশেষ বিশ্বকাপে আমরা ইংল্যান্ডে ওর পারফরম্যান্সের কারণে আমরা স্বপ্ন দেখতে পেরেছিলাম যে সেমিফাইনাল খেলব। তা হয়নি। বলা যায় না, এবার হতেও পারে সেটা।’
এসময় মোস্তাফিজের আইপিএল খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে সুজন বলেছেন, আমার তো মনে হয় (মোস্তাফিজ) যাবে। আমি জানি না আসলে এ বিষয়ে। ক্রিকেটারদের এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেয়ার ব্যাপারটা তো বোর্ডের হাতে। যেহেতু ওকে একটা দল নিয়েছে, রাজস্থান রয়্যালস। এখন সাকিবের এনওসি হয়েছে মানে ওরও হওয়া উচিত এটা। আপনি আলাদা করতে পারবেন না। যদি হয় তাহলে ও যাবে। যদি ন্যাশনাল টিমের ডিউটি না থাকে তাহলে অবশ্যই যাবে। মোস্তাফিজ তো ঠিকই বলেছে এটা। জাতীয় দলের খেলা না থাকলে এমনি বসে থাকার চেয়ে আইপিএল খেলাটা ওর জন্য অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা হবে। বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো হবে এটা।