ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসাছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে ৫ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নিহতরা হলেন- বাদল মিয়া (২৬), জুর আলম (৩৫) ও সুজন মিয়া (২৫), কাওসার (২০) ও জুবায়ের (২০)। নাম জানা গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনজন মারা গেছে। তারা সবাই গুলিবিদ্ধ।
এদিকে, বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোড দিয়ে আওয়ামীলীগের একটি র্যালী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এলাকা অতিক্রম করার সময় পেছন দিক থেকে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রকে ধাওয়া করে। এসময় ছাত্ররাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। তখন সেখানে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কান্দিপাড়া মসজিদ থেকে মাদ্রাসা রক্ষার জন্য মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেয়া হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা পিছু হটে। পওে ক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অন্যদিকে সরাইল উপজেলায় স্থানীয়দের বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্যাম্পে থাকা ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পরে পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৫ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।