ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে সংঘর্ষে নিজেদের কর্মী নিহতের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সমর্থন না দিলেও তাদের কর্মসূচিকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় গতকাল দেশের দুই জেলায় সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়, যাদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছে হেফাজত। এর প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠনটি। কর্মসূচির প্রথম দিন শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে হেফাজত। দ্বিতীয় দিন রোববার সারাদেশে হরতালের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
হেফাজতের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যেটা প্রতিবাদ করছি, বিক্ষোভ মিছিল করছি সেটা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিনে মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদে। খুব স্পেসিফিক বলছি যে, প্রত্যেকটা সংগঠনের, প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার আছে প্রতিবাদ করা বা তার মত প্রকাশ করবার। সেই মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যখন গুলি করা হয়েছে আমরা সেইটার প্রতিবাদ করছি, আমরা এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকটি নাগরিকের ন্যায়সঙ্গত সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভিন্নমত পোষণ করবার। সেখানে তারা যদি কোনো কর্মসূচি দেয় বা হরতাল আহ্বান করে সেটা যৌক্তিক তো বটেই। তবে একই সঙ্গে সরকার যদি তাকে প্রতিহত করবার বা বন্ধ করবার অগণতান্ত্রিক অথবা হঠকারী হুমকি দেয়- সেটা হবে একেবারেই হঠকারী ব্যবস্থা। সরকারের কাছে থেকে এই ধরনের ব্যবস্থা কেউ আশা করতে পারে না। যদি এখানে কোনো অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’