টি-টোয়েন্টিতেও টাইগারদের বড় হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা
ছবি : সংগৃহীত

আট উইকেটে হেরে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের এই সিরিজে তামিম ইকবালের দল হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও বড় হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রবিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল হেরেছে ৬৬ রানে। তিন ম্যাচের এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মার্চ।

হ্যামিলটনের সিডন পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে এদিন নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে আফিফ হোসেন ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন। ১৮ বলে ২৭ করেন নাঈম শেখ। ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি ২৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া লকি ফার্গুসন ২টি, হামিশ বেনেট ১টি ও টিম সাউদি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

universel cardiac hospital

ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টিম সাউদির বলে ইশ সোধির হাতে ক্যাচ হন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে এলবিডব্লিউ হন নাঈম শেখ।

ইশ সোধির করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দুইটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকার বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ষষ্ঠ বলে বোল্ড হন মিথুন। অষ্টম ওভারে সোধি আরো দুইটি উইকেট নেন। ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম বলে বোল্ড হন শেখ মেহেদী হাসান।

এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলীয় ১২২ রানে ফার্গুসনের বলে বোল্ড হন আফিফ। ১৯তম ওভারে বেনেটের শিকার হন শরিফুল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে ডেভন কনওয়ে ৫২ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩০ বলে ৫৩ করেন উইল ইয়ং। ১০ বলে ২৪ করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপস। ২৭ বলে ৩৫ করেন মার্টিন গাপটিল। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ২টি ও শেখ মেহেদী হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুইজনের অভিষেক হয়েছে। তারা হলেন স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনজুরির কারণে একাদশে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে, কিউইদের একাদশেও দুইজনের অভিষেক হয়েছে। তারা হলেন ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়ং।

নিউজিল্যান্ড ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাসুম আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ওভারে বল করতে এসেই সফলতার দেখা পান নাসুম। ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। অ্যালেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম বলেই আউট হন।

সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আরেকটি উইকেটের দেখা পান নাসুম। সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন মার্টিন গাপটিল। নাসুমের নামের পাশে আরেকটি উইকেট যোগ হতে পারতো। কিন্তু ১৫তম ওভারে শরিফুল ইসলাম যখন কনওয়ের ক্যাচটি নিয়েছিলেন তখন তার পা বাউন্ডারি রোপে স্পর্শ করে। ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্তের জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের স্মরণাপন্ন হন। তখনই নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শরিফুলের পা বাউন্ডারি লাইনে স্পর্শ করেছে। যার ফলে এটি ছয় হয়ে যায়। সেই সাথে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ হয় কনওয়ের।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। ১৭তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ হন ইয়ং। ম্যাচসেরা হয়েছেন কনওয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৬৬ রানে জয়ী নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ইনিংস: ২১০/৩ (২০ ওভার)

(গাপটিল ৩৫, অ্যালেন ০, কনওয়ে ৯২, ইয়ং ৫৩, ফিলিপস ২৪; নাসুম ২/৩০, সাইফউদ্দিন ০/৪৩, শরিফুল ০/৫০, মোস্তাফিজ ০/৪৮, শেখ মেহেদী ১/৩৭)।

বাংলাদেশ ইনিংস: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)

(নাঈম শেখ ২৭, লিটন ৪, সৌম্য ৫, মিথুন ৪, রিয়াদ ১১, আফিফ ৪৫, শেখ মেহেদী ০, সাইফউদ্দিন ৩৪, শরিফুল ৫ নাসুম ০; সাউদি ১/৩৪, বেনেট ১/২০, ফার্গুসন ২/২৫, সোধি ৪/২৮, চ্যাপম্যান ০/৯, ফিলিপস ০/৫, মিচেল ০/২১)।

ম্যাচসেরা: ডেভন কনওয়ে (নিউজিল্যান্ড)।

শেয়ার করুন