ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষে হতাহতের প্রতিবাদে রবিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না রাজধানীতে। দেশের অন্যান্য স্থানেও হরতাল চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
রাজধানীতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। বাড়ছে যানজট। তবে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থানে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক। লোকজন কাজে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জীবন স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পুলিশ ও র্যাব সদর দপ্তরে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যারা এই হরতালের নামে বিক্ষোভ, মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে, জ্বালাও-পোড়াও করবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ যদি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করে, থানায় হামলা বা আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মনে রাখতে হবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব সদর দপ্তর সব ব্যাটালিয়নকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি র্যাব সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। কেউ হরতালের নামে সহিংসতা করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।