স্বাধীনতার পরবর্তীকালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চালু কারখানার সংখ্যা এখন ১২টি। যেখানে ৯৭টি প্রতিষ্ঠান ছিল সংস্থাটির।
বিসিআইসি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশের ১৯৭৬ সালের ২৫ নম্বর সংশোধনী তিনটি করপোরেশন : বাংলাদেশ সার, রসায়ন ও ভেষজ শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ কাগজ ও বোর্ড করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যানারিজ করপোরেশন একীভূত করে ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিন করপোরেশনের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৮৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংস্থার যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে ছয়টি নতুন কারখানা সংস্থা কর্তৃক স্থাপিত হয় এবং তিনটি কারখানা অন্য সংস্থা থেকে বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীনে ন্যস্ত হয়। সব মিলে কারখানার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৭টি।
এরপর সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করা হয়। সাতটি কারখানা সাবেক মালিকের কাছে এবং সাতটি প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করে বিসিআইসি। পরবর্তীকালে ছয়টি প্রতিষ্ঠান সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে বন্ধ করে জনবল পে-অফ করা হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
এখন সার, সিমেন্ট, কাগজ, গ্লাসশিট, হার্ডবোর্ড, স্যানিটারিওয়্যার ও ইন্স্যুলেটর পণ্য সামগ্রী বিসিআইসি উৎপাদন করছে। বিসিআইসির উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে ৮০ শতাংশ রাসায়নিক সার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ইউরিয়া ও ১০ শতাংশ অন্যান্য সার।