দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৫ হাজার ১৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৩৯০৮, ৩৬৭৪, ৩৭৩৭, ৩৫৮৭, ৩৫৬৭, ৩৫৫৪ ও ২৮০৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৮৯৫ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। এ নিয়ে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৯৪৯ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৮হাজার ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৭৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়