গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব মালিক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশনা আসায় গণপরিবহনে বর্তমান ভাড়ার চেয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে এমন প্রস্তাব দেয় বাস মালিক সমিতি। মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর এই প্রস্তাবে সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। এই সুপারিশ এখন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আর সরকার নেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সুপারিশ করলেও বিআরটির পক্ষ থেকে জানানো হয় ভাড়া বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চলমান ভাড়াই বহাল থাকবে।

বৈঠকের পর সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছায় সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এসব নির্দেশনার মধ্যে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

নতুন নির্দেশনার ফলে যানবাহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে বাস মালিক সমিতি। বৈঠকে বাস ও মিনিবাসে শতকরা ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয় বিআরটিএ’র কাছে।

বৈঠকের পর সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবটি পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার শবে বরাতের কারণে সরকারি ছুটি। দুই একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে মন্ত্রণালয়।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহনে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। গণপরিবহনের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের অধিক যাত্রী নেওয়া যাবে না মর্মে নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি আরও একটি নির্দেশনা হচ্ছে, করোনার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকায় গণপরিবহন চলাচল শিথিল বা প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে। তবে এ বিষয়টি ঠিক করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনটি পাওয়ার পর আমরা দ্রুত মালিকপক্ষসহ ভাড়া নির্ধারণ কমিটির বৈঠক ডাকি। এতে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব প্রস্তাব করেছেন যে ২০২০ সালে মে যেভাবে ভাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেভাবেই বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ৫০ ভাগ যাত্রী বহন করবেন। এই প্রস্তাবটি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানাবো। এরপর এটি কার্যকর হবে। তবে অবশ্যই সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হওয়ার পর যাত্রী এবং গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে।

শেয়ার করুন